পুরুষের দাড়ি ও নারীদের হিজাব নিয়ে নতুন আইন - Islamic Life
আফগানিস্তানে নারীদের মুখ ঢাকা এবং পুরুষদের দাড়ি রাখা নিয়ে নতুন আইন নথিভুক্ত ও কার্যকর করা শুরু করেছে তালেবান সরকার। আফগানিস্তানের বিচার মন্ত্রণালয়ের বরাতে রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
 |
| ছবি: ফাইল ছবি |
নতুন আইন অনুযায়ী এখন থেকে দেশটিতে নারীদের মুখ ঢেকে চলতে হবে। পুরুষদের দাড়ি রাখাও বাধ্যতামূলক।
এ ছাড়া নারী-পুরুষ কেউ নামাজ আদায় ও রোজা পালন থেকে বিরত থাকতে পারবে না এবং গাড়ি চালানোর সময় গান বাজানো যাবে না।
জানা গেছে, এ সংক্রান্ত ডিগ্রি ২০২২ সালে তালেবানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা জারি করেছিলেন। ওই ডিক্রিতে যেসব নিয়মকানুনের কথা বলা হয়েছিল তাই এখন আইনে রূপ দেওয়া হয়েছে। এরপর নীতিনৈতিকতা-বিষয়ক একগুচ্ছ নিয়মকানুন পালনে বাধ্যবাধকতা ঘোষণা করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র সেনা সরিয়ে নেওয়ার পর থেকে আফগানিস্তানে শরিয়াহ আইন কার্যকর শুরু করে Taleban সরকার। এগুলো বাস্তবায়নে নৈতিকতা–বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়েছে। এ মন্ত্রণালয় দেশটিতে ধর্মীয় বিধান পালনের বিষয়টি নজরদারি করে।
নৈতিকতা বিষয়ক মন্ত্রনালয় ইতিমধ্যেই অনুরূপ কিছু ধর্মীয় আইন প্রয়োগ শুরু করছে। তারা বলেছে, এসব আইন লঙ্ঘনের জন্য হাজারো লোককে আটক করা হয়েছে৷ [ অথচ কখন কবে থেকে আইনগুলোর জন্য শাস্তি দেওয়া হবে তা স্পষ্ট করে জানায়নি বিচার মন্ত্রণালয়।]
এতক্ষণ পড়ছেন কালবেলা নিউজের প্রতিবেদনের কিছু অংশ
আমার মতামতঃ
আফগানিস্তান ২০২১সালে যখন তালেবানের হাতে ঐতিহাসিক বিজয় আসে, তখন তালেবান সরকার ইসলামী হুকুমত কায়েম করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছিলো৷ ঠিক তাই করে দেখিয়েছে তারা বিশ্বকে ৷ ইসলামী সমাজনীতি ইসলামী অর্থনীতি ইসলামী আইননীতি ও কুটনীতি সব ধীরে ধীরে চালু করেছে ও করতেছে কর্ম বর্ধমান৷ এর ফলে কিছু ইসলাম বিদ্বেষী তথা কথিত বুদ্ধিজিবীরা প্রশ্ন তুলেছিলো হাজারো৷ কিন্তু দুই থেকে তিন বছরের ব্যবধানে যখন আফগানি টাকার রেট ডলারে বাড়তে শুরু করলো তখন তারা কোথায় যেনো হারিয়ে গেলো ৷ আফগানিস্তান সারা বিশ্বে ইসলামী শরীয়ত অনুস্মরণে চলমান একটি মাত্র দেশ৷ সকল দ্বীনদার মুসলমানদের অন্তরের কামনা যেনো মৃত্যুর আগে একটি মাত্র দিন হলেও ইসলামী হুকুমতের অধীনে চলতে পারে৷ আমরা দোয়া করি তাদের আর্থিক সমাজিক ও মানবিক পর্যায়ে আল্লাহর বরকত নাজিল হোক ৷৷
এম হারুন - presentbd.com