কোরআন একটা ভাওতাবাজি - বললেন বিএনপি'র মেয়র।
সম্প্রতি সাবেক মংলা পৌর মেয়র ও বিএনপি নেতা মোঃ জুলফিকার আলীর একটি বিতর্কিত বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে তিনি কুরআন সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন।
সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন তার এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে এই ভিডিওটি শেয়ার করেন, যেখানে শোনা যায়, জুলফিকার আলী বলেন, "কুরআন একটা ভাওতাবাজি" (নাউজুবিল্লাহ)। তিনি আরো বলেন, "কুরআন কি জামায়াত ইসলামীর একার? তার এই মন্তব্য নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের প্রতিক্রিয়া
বাংলাদেশের ইসলামপ্রেমী জনগণ, আলেম-ওলামা ও ধর্মীয় সংগঠনগুলো তার এই বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে। ইসলামিক চিন্তাবিদদের মতে, কুরআনের প্রতি অবমাননাকর বক্তব্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় এবং এটি দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে।
সামাজিক মাধ্যমে অনেকে এই মন্তব্যকে "চরম ধর্মবিদ্বেষী ও ইসলামবিরোধী" বলে আখ্যায়িত করেছেন। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, বিএনপি কি এ ধরনের ব্যক্তিদের সমর্থন দেয়?
বিএনপির অবস্থান ও রাজনৈতিক প্রভাব
বিএনপি এখনো এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি, তবে এই মন্তব্য দলটির জন্য বড় ধরনের রাজনৈতিক ক্ষতির কারণ হতে পারে। ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বলছেন, বিএনপি যদি ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, তাহলে তারা কখনো তাদের পাশে দাঁড়াবে না।
এদিকে, ভিডিওতে জুলফিকার আলী বক্তব্য নিয়ে সাংবাদিক ইলিয়াস তার X(সাবেক টুইটারে) বলেন, "বিএনপিকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যাবে না, আমরা কুরআন দিয়ে দেশ পরিচালনাকারীদের দেখতে চাই ক্ষমতায়..."।
আইনি ব্যবস্থা ও তদন্তের দাবি
বিভিন্ন ইসলামি সংগঠন, রাজনৈতিক নেতা ও সাধারণ জনগণ এই বক্তব্যের জন্য জুলফিকার আলীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার জন্য বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে বলে আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
আমার কথা-
সাবেক মেয়রের এই বিতর্কিত মন্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার বিষয়টি বাংলাদেশে অত্যন্ত স্পর্শকাতর, এবং এ ধরনের মন্তব্যের কারণে রাজনৈতিক দলের প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট হতে পারে। এখন দেখার বিষয়, বিএনপি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে।