সংবিধানে ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বহাল রাখার পক্ষে আলী রীয়াজের যুক্তি
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো সংবিধান সংস্কার কমিশন। গত ১৫ জানুয়ারি, কমিশন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়। এই কমিশন সংবিধানের কাঠামোতে পরিবর্তনের সুপারিশ করেছে, যাতে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত না থাকে এবং দেশ স্বৈরশাসনের পথে না যায়।
কমিশন গণতন্ত্রকে সংবিধানের মৌলিক নীতি হিসেবে রাখার পাশাপাশি সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার ও বহুত্ববাদ অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে। তবে, তারা তিনটি নীতি বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে, যার মধ্যে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ও রয়েছে। এই সুপারিশ নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে।
সম্প্রতি জাপানভিত্তিক সাময়িকী দ্য ডিপ্লোম্যাট-এর সঙ্গে আলাপকালে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. আলী রীয়াজ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ অনুসরণ করেছে, তা কেবল ধর্মীয় বৈচিত্র্যের সহনশীলতার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। তবে, কমিশনের সুপারিশ করা ‘বহুত্ববাদ’-এর ধারণাটি আরও বিস্তৃত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক।
সাক্ষাৎকারে আলী রীয়াজের কাছে জানতে চাওয়া হয়, কেন সংবিধানে ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বহাল রাখা হয়েছে, অথচ ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ বাদ দেওয়া হয়েছে?
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রাখা নিয়ে আলী রীয়াজের ব্যাখ্যা
তিনি বলেন, ১৯৮৮ সালে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এরপর আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সরকারে আসলেও তারা কখনো এটি বাতিলের উদ্যোগ নেয়নি। ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে হাইকোর্টও এক রায়ে জানায়, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রাখা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়।